Visually
The earch, our solar system, the sun, arcturus, antares, the milky way and the universe. How does the size of earth stack up.
Five New Technologies That Will Change Your Life In 10 Years
From brain-controlled computers to hologram video games, a fascinating look at five new technologies that will change your life in the next ten years!
Saturday, May 27, 2017
Friday, May 12, 2017
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আবু হেনা রনি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আবু হেনা রনি, ভারতের জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৬’ আয়োজনের চ্যাম্পিয়ন। সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেড়ানো নিয়ে ৬ মে রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে ‘বৃষ্টির জল’ শিরোনামের একটি কবিতা থেকে দুটি লাইন তুলে দেন। লাইন দুটি হলো— ‘তোমার মোঘল জলাধারে/ ইনি গা ভেজালেন।’ ভুল বুঝতে পেরে ৭ মে রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে দুঃখপ্রকাশ করে ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লিখেছেন, ‘বৃষ্টির দিনে পছন্দের একটি কবিতার দুটি লাইন শুধু এক করেছিলাম। কিন্তু আপনারা সেটাকে অন্য কিছুর সাথে এক করে ফেললেন। এই বৃষ্টির দিনে কেউবা ইচ্ছা করে হাটু পানিতে ভিজছে কেউবা গোটা ম্যানহলে ডুবছে, বিষয়টা শুধুই এই। তবুও কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এবার আবু হেনা রনির বিরুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। ৯ মে বিকালে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, মামলাটি ১১ মে রাতে রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজের ভুল বুঝতে পেরে ৭ মে স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রনি। আজ শুক্রবার রাতে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমি দেশের জন্য কত বড় সম্মান বয়ে এনেছি। ভারতের এত বড় একটা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমরা তো নানা কিছু নিয়ে জোকস বলি, স্ট্যাটাস দেই। কিন্তু তা নিয়ে যে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে, তা একবারও ভাবিনি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কিংবা তাকে ছোট করার জন্য মোটেও এই কাজ করিনি। আমি তার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। তিনিও একজন মা, আশা করি এই সন্তানকে তিনি ক্ষমা করবেন।’
আবু হেনা রনি সিংড়া উপজেলার ৫নং চামারী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বিলদহরের আব্দুল লতিফের ছেলে। ২০১২ সালের ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৬’ আয়োজনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে স্ট্যান্ড–আপ কমেডি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
Thursday, May 11, 2017
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য ঝালকাঠির সন্তান ড. মশিউর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর তাকে ৪ বছরের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন।
ড. মশিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি নিয়ে পাস করে ২০১১ সালে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকে তার শিক্ষকতা শুরু হয়। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য।
অধ্যাপক মশিউর রহমান ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের কাঠিপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও আদর্শ শিক্ষক প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। ঝালকাঠির কৃতি সন্তান ড. মশিউর রহমান নলছিটি মার্চেন্টস মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও এমএসএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।
২০১১ সালে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃ-জনগোষ্ঠীর ওপর পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। ড. মশিউর চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, সুইডেন সহ অনেক দেশের সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সুনাম অর্জন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে যোগদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন ড. মশিউর রহমান। তার বহু গবেষণা-প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের জার্নাল ও বইয়ের অধ্যায় হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। তার পিএইচডি’র গবেষণা কর্মটি সুইডেনের বিখ্যাত লুন্ড বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এর পুর্বে ড. মশিউর রহমান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে মানববন্ধন
Sources: ঠাকুরগাঁও নিউজ
ঠাকুরগাঁও বিএনপি'র কর্মী সমাবেশ
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে সমাবেশ অনু্ষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই কর্মীসভা উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা আযোজন করে জেলা বিএনপি। এ সময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্য মিজানুর রহমান মিলু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর রহমান, সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, সদর থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান প্রমুখ। বক্তারা এ সময় ঠাকুরগাঁও বিএনপির তৃণমুলকে কর্মীদের আগামী আন্দোলনের জন্য সুসংগঠিত হওয়ার জন্য অাহবান জানায়।
Sources ::ঠাকুরগাঁও নিউজঃ
নগ্ন করে নারীকে নির্যাতনের পরও থেমে নেই সেই চেয়ারম্যান
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য কর্তৃক নগ্নভাবে নির্যাতনের শিকার সেই নারী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তিনি সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এর আগে, গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই নারীকে বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার, যুবলীগ নেতা রায়হান ও ইউপি সদস্য আনিসুর উলঙ্গ করে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার পর তাদের (চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য) বাধার মুখে সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার, যুবলীগ নেতা রায়হান ও ইউপি সদস্য আনিসুরের নজর পড়ে আমার বসত-বাড়ির ওপর। বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাত তারা। এরপর তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেটা না দেয়ায় আমাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।
তিনি জানান, চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মাস্টারের পা ধরে বার বার আকুতি করলেও তাকে ছাড়েননি। একের পর এক লাথি মেরেছেন।
অন্যদিকে এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জড়িতরা এলাকার কিছু সহজ সরল মানুষকে দিয়ে বুধবার দুপুরে ওই নারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
প্রতিবেশীরা অভিযোগ করে জানান, ওই নির্যাতিত নারীকে সমাজের কাছে হেয় করার জন্য একটি মহল নানা রকম কুৎসা রটাচ্ছে।
সরেজমিনে জগন্নাথপুর এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর ওই নারী বাড়ির সামনে একটি দোকান চালাতো। ব্যবসার খাতিরে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ওই নারীর ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই নারী যে জমির ওপর বসতভিটা গড়ে তুলেছিল সেই জমির ওপর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আনিসুরের নজর পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের জন্য নানাভাবে কৌশল করতে থাকেন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় যুবলীগ নেতারা। ভিটে মাটি ছাড়ার জন্য ইতোপূর্বে একাধিকবার হুমকিও দেন চেয়ারম্যানের লোকজন। ছেড়ে না দিলে দুই লাখ টাকা দাবিও করা হয়। সেই কথায় রাজি না হলে গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক বলে এলাকাবাসীর কাছে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ নানা কথা ছড়ায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে এ কথা বলেছেন।
এরপর রবিবার রাতে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলালের নির্দেশে যুবলীগ নেতা রায়হানের কর্মীরা তিন সন্তানের ওই জননীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিষদে তাকে নগ্ন করে নির্যাতন করা হয়েছে বলে বলে ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছেন।
একই সময়ে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়কেও সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা রায়হান, ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান, কেদারনাথ রায় ও নারী সদস্য মালেকা বেগম।
হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী জানান, ''প্রমথ চন্দ্র রায়কে আমি দাদা মনে করি। কিন্তু চেয়ারম্যানের লোকজন নানা রকম কথা ছড়াচ্ছে আমাদের বিষয়ে। মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমার বসতভিটার জমির জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পরিষদে ডেকে নগ্ন করে সবার সামনে আমাকে নির্যাতন করেছে। চেয়াম্যানের পা ধরে আকুতি করলেও তিনি আমাকে বেধড়ক মারপিট করেন। আমি যাতে মামলা না করতে পারি সেজন্য নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতারা। ''
নির্যাতিত নারীর ছোট মেয়ে জানায়, ''টিপ-সই দেয়ার নাম করে তার মাকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের লোকজন। এছাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। না হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। ''
গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের অভিযোগ, তাকেও একই সময়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং টাকা দাবি করা হয়। ওই নারীর সঙ্গে আমার নাকি অবৈধ সম্পর্ক সে কারণে চেয়ারম্যান টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান ও কেদারনাথ রায় জানান, ওই দু'জনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। আর যুবলীগ নেতা রায়হান জানান, ওই নারী আমাদের এলাকার মানসম্মান নষ্ট করেছে। তাই তাকে এলাকার মানুষ শাসন করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল বলেন, সব কিছু মিথ্যা। ওই নারীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে পরিষদে আনা হয়ছিল। সাধারণ মানুষ তাকে মারপিট করেছে। টাকা দাবির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ওসি মশিউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ ঘটনায় ওই নারী হাসপাতালে রয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Source : Bangladesh Pratidin
এর আগে, গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই নারীকে বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার, যুবলীগ নেতা রায়হান ও ইউপি সদস্য আনিসুর উলঙ্গ করে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার পর তাদের (চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য) বাধার মুখে সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার, যুবলীগ নেতা রায়হান ও ইউপি সদস্য আনিসুরের নজর পড়ে আমার বসত-বাড়ির ওপর। বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাত তারা। এরপর তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেটা না দেয়ায় আমাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।
তিনি জানান, চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মাস্টারের পা ধরে বার বার আকুতি করলেও তাকে ছাড়েননি। একের পর এক লাথি মেরেছেন।
অন্যদিকে এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জড়িতরা এলাকার কিছু সহজ সরল মানুষকে দিয়ে বুধবার দুপুরে ওই নারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
প্রতিবেশীরা অভিযোগ করে জানান, ওই নির্যাতিত নারীকে সমাজের কাছে হেয় করার জন্য একটি মহল নানা রকম কুৎসা রটাচ্ছে।
সরেজমিনে জগন্নাথপুর এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর ওই নারী বাড়ির সামনে একটি দোকান চালাতো। ব্যবসার খাতিরে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ওই নারীর ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই নারী যে জমির ওপর বসতভিটা গড়ে তুলেছিল সেই জমির ওপর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আনিসুরের নজর পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের জন্য নানাভাবে কৌশল করতে থাকেন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় যুবলীগ নেতারা। ভিটে মাটি ছাড়ার জন্য ইতোপূর্বে একাধিকবার হুমকিও দেন চেয়ারম্যানের লোকজন। ছেড়ে না দিলে দুই লাখ টাকা দাবিও করা হয়। সেই কথায় রাজি না হলে গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক বলে এলাকাবাসীর কাছে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ নানা কথা ছড়ায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে এ কথা বলেছেন।
এরপর রবিবার রাতে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলালের নির্দেশে যুবলীগ নেতা রায়হানের কর্মীরা তিন সন্তানের ওই জননীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিষদে তাকে নগ্ন করে নির্যাতন করা হয়েছে বলে বলে ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছেন।
একই সময়ে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়কেও সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা রায়হান, ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান, কেদারনাথ রায় ও নারী সদস্য মালেকা বেগম।
হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী জানান, ''প্রমথ চন্দ্র রায়কে আমি দাদা মনে করি। কিন্তু চেয়ারম্যানের লোকজন নানা রকম কথা ছড়াচ্ছে আমাদের বিষয়ে। মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমার বসতভিটার জমির জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পরিষদে ডেকে নগ্ন করে সবার সামনে আমাকে নির্যাতন করেছে। চেয়াম্যানের পা ধরে আকুতি করলেও তিনি আমাকে বেধড়ক মারপিট করেন। আমি যাতে মামলা না করতে পারি সেজন্য নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতারা। ''
নির্যাতিত নারীর ছোট মেয়ে জানায়, ''টিপ-সই দেয়ার নাম করে তার মাকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের লোকজন। এছাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। না হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। ''
গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের অভিযোগ, তাকেও একই সময়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং টাকা দাবি করা হয়। ওই নারীর সঙ্গে আমার নাকি অবৈধ সম্পর্ক সে কারণে চেয়ারম্যান টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান ও কেদারনাথ রায় জানান, ওই দু'জনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। আর যুবলীগ নেতা রায়হান জানান, ওই নারী আমাদের এলাকার মানসম্মান নষ্ট করেছে। তাই তাকে এলাকার মানুষ শাসন করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল বলেন, সব কিছু মিথ্যা। ওই নারীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে পরিষদে আনা হয়ছিল। সাধারণ মানুষ তাকে মারপিট করেছে। টাকা দাবির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ওসি মশিউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ ঘটনায় ওই নারী হাসপাতালে রয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Source : Bangladesh Pratidin
'বাহুবলী-২' ছবিতে ১৫টি ভুল!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই সিনেমা নিয়ে চর্চা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দর্শকরা এই সিনেমা দেখতে চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া করে ভারতে গেছে। প্রভাস, রানা দাগ্গুবাতি অভিনীত এই সিনেমাই কিন্তু বেশ কিছু খুঁত বার করেছেন নেটিজেনরা। একটি ভাইরাল ভিডিও-য় ‘বাহুবলী ২’ সিনেমার অন্তত ১৫টি হাস্যকর খুঁত তুলে ধরেছে একটি ইউটিউব চ্যানেল। ইতিমধ্যেই ওই ভিডিও-য় এক লক্ষেরও বেশি বার দেখে ফেলেছেন নেটিজেনরা। তবে এই খুঁতগুলি সিনেমাটিকে কোনও অংশেই খাটো করতে পারেনি। ভিডিও-টিও নেহাত মজা করে বানানো হয়েছে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।